News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

জামাই-শ্বশুর পিঠা ঘরে পাওয়া যায় ১৩ পদের পিঠা


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম জামাই-শ্বশুর পিঠা ঘরে পাওয়া যায় ১৩ পদের পিঠা

শীত পড়তেই বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য পিঠার দোকান চোখে পড়ে। যার বেশিরভাগ দোকানেই দুই কিংবা তিন পদের বেশি পিঠা বানাতে দেখা যায়না। তবে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতের মৌসুমে ১৩ পদের পিঠা বানিয়ে তা বিক্রি করছেন জামাই-শ্বশুর নামের একটি দোকানে। মুখরোচক এই খাবার ক্রয়ে ক্রেতাদের হুমড়ি খেয়ে অপেক্ষা করতে লক্ষ্য করা গেছে।

(নাসিক) ১নং ওয়ার্ডের কাসসাফ শপিং সেন্টারের পেছনের এই দোকানে সরেজমিনে গিয়ে পিঠা প্রেমী ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পদের পিঠা বিক্রি করে আসছেন মো. মনসুর (৩৬) নামের পিঠা ব্যবসায়ী। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মৃত মুসলিম বেপারীর ছেলে এই পিঠা বিক্রিতা। প্রতিদিন দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা হতেই পিঠা প্রেমীদের উপচে পড়া সমাগমের দেখা মেলে তার দোকানে। ফলে ক্রেতা চাহিদা মেটাতে হিমশিম খান কর্মচারীরা।

মনসুরের জামাই-শ্বশুরের দোকানে যেসব পদের পিঠা বিক্রি হয়, নকশিপিঠা, মালপোয়া পিঠা, জ্বাল চিকেন পিঠা, মিষ্টিপুলি ও সেদ্ধপুলি পিঠা, তেলের পিঠা, পাটিসাপটা, লবঙ্গলতিকা, ঝিনুকপিঠা, তালের পিঠা, মুগপাকন, সবজি পাকুরা, ডিম পিঠা। এসব পিঠার মধ্যকার শুধুমাত্র ঝিনুকপিঠার মূল্য ১০ টাকা আর বাকি ১২ পদ ২০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়।

কাজ আর নানান ব্যস্ততার কারণে আগের মতো এখন ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর দৃশ্য চোখে পড়ে না। বলাচলে এই কাজে আগ্রহ কমেছে মানুষের। তাই শীত পড়তেই পিঠা প্রেমীদের আনাগোনা থাকে ভ্রাম্যমান পিঠার দোকানগুলোতে।

পিঠা ক্রয় করতে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকা মাসুম নামের এক ব্যক্তি বলেছেন, এখানকার পিঠাগুলো খুবই সুস্বাদু। দোকানের পরিবেশও ভালো আছে, পিঠাগুলো ডেকে রাখা হয়। আমাদের বাসার পাশে এমন দোকান থাকায় বিভিন্ন পিঠার স্বাদ নিতে পারি। আমি প্রায় সময়ই এখানকার পিঠা খাই।

সাগর নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আগের মতো বাসায় পিঠা বানায় না। তাই শীতকালীন পিঠার স্বাদ নিয়ে প্রায় সময় এখানে এসে পিঠা খেয়ে যাই। অনেক পদের পিঠা আছে আর স্বাদও ভালো।

৩০ মিনিট ধরে পিঠার জন্যে অপেক্ষায় থাকা আব্দুর রহমান বলে, আগে মা-খালাদের পিঠা আমাদের জন্য বানাতে দেখতাম। কিন্তু এখন আধুনিকতার জন্যে তা আর পাই না। তাই মাঝেমধ্যে এখানে পিঠার জন্যে আসি। তবে সিরিয়ালে অপেক্ষা করা লাগে, কারণ দূরদূরান্তও থেকেও মানুষ আসেন পিঠা খেতে।

জামাই-শ্বশুর পিঠা ঘরের ব্যবসায়ী মনসুর জানান, তার বর্তমানে ৩ টি পিঠার দোকান রয়েছে। বছরের ৯ মাস পিঠা ব্যবসা আর ৩ মাস অন্যান্য ব্যবসা করেন তিনি। তার দোকানগুলোতে ১৫-১৬ জন কর্মী চাকরিতে রয়েছে। দুই সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে হীরাঝিল আবাসিক এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। হীরাঝিলেই তার পাশাপাশি দুটি দোকান থাকায় এ দুটির পরিচালনা তিনি নিজেই করেন। সারুলিয়ার অপরটি কর্মচারীরা দেখবাল করেন। পিঠার দোকানে প্রতিদিন অন্তত ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি হয় বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।

Islam's Group