নারায়ণগঞ্জে কোকাকোলার এজেন্টের গুদামে গিয়ে সব ধরনের কোমলপানীয় ধ্বংসের হুমকি প্রদান ও হামলার চেষ্টার অভিযোগে চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জে নলুয়া রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন- হামদাদ শরীফ রাইয়ান (২৪), মো. জহির (৩০), মো. রিয়াদ (২৭) এবং মো. সুজন (১৮)। তারা সবাই জেলা সদরের মুসলিমনগর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বালুরমাঠ এলাকায় কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলার আশঙ্কায় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বালুর মাঠ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল বেলা পৌনে ১২টার সময় নিতাইগঞ্জের বাপ্পী চত্বর এলাকার জাহিদ ওরফে জহিরের নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭ জন যুবক বাংলাদেশ বেভারেজ লিমিটেডের কোমল পানীয় কোকা কোলার পরিবেশক 'দি জামাল অ্যান্ড কোম্পানি'র গুদামে প্রবেশ করেন। জাহিদ ওরফে জহির এবং তার সঙ্গে থাকা আজমীর শেখ সজলসহ সবাই নিজেদের তারেক জিয়া প্রজন্ম দল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন। তারা গুদামে মজুদকৃত কোকা কোলার সব ধরনের কোমলপানীয় পণ্য ধ্বংসের জন্য সেখানে দায়িত্বেরত নিরাপত্তা কর্মী ও অন্যান্য কর্মচারীদের হুমকি দেন এবং গুদামে হামলার চেষ্টাও করেন।
এ সময় হুমকি ও হামলার চেষ্টার বিষয়টি কোকা কোলার পরিবেশক 'দি জামাল এন্ড কোম্পানি'র পক্ষ থেকে সদর থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হামদাদ শরীফ রাইয়ান, মো. জহির, মো. রিয়াদ ও মো. সুজন নামে চার যুবককে আটক করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, সাম্প্রতিক সময় ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে চলমান প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে কিছু কিছু স্থানে সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। সেই ধরনের একটি দুষ্কৃতকারী দল নিতাইগঞ্জে কোকাকোলা'র ডিলারের গুদামে গিয়ে হুমকিসহ হামলার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে আমি থানা পুলিশ নিয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে চারজনকে হাতেনাতে আটক করি। ঘটনার পর ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় কোকাকোলার ডিলারের পক্ষ থেকে মামলা ও আটকদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আটকরা একেকজন একেক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে কিনা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নই। তবে তাদের সবার ব্যক্তিগত বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি এবং যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি।
ওসি মোহাম্মদ নাছির আহমদ আরও বলেন, হামলার আশঙ্কায় শহরের বালুরমাঠস্থ কেফসি রেস্টুরেন্টের সামনেও পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :