News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

চাষাঢ়ায় বায়তুল আমান দখলের চেষ্টা


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ১০:১৮ পিএম চাষাঢ়ায় বায়তুল আমান দখলের চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জ শহরের ঐহিত্যবাহী বায়তুল আমান দখলের চেষ্টাকে প্রতিহত করলো খান সাহেব ওসমান আলীর পরিবারের সদস্যরা। দখলের উদ্দেশ্য বসানো বাঁশের খুটি তারা উপড়ে ফেলে দিয়েছেন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে পরিবারের সকল সদস্যরা এসে বাঁশের খুঁটি উপড়ে ফেলে দেন।

এ বিষয়ে প্রয়াত খান সাহেব ওসমান আলীর ছেলে প্রয়াত আল মামুন সারোয়ারের (ননী সারোয়ার) স্ত্রী আলেয়া সারোয়ার বলেন, আমর সবাই নারায়ণগঞ্জে একত্রিত হয়েছিলাম। তখন আমরা যাওয়ার পথে দেখলাম কে যেন আমাদের জায়গায় বাঁশ গেড়েছে। আমরা সবাই এসে বাঁশ উঠিয়ে দিয়েছি। কে কারা আমাদের পৈত্রিক জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে। এই জায়গাটা আশেপাশের কিছু মানুষ দখল করার চেষ্টা করছে। এই বাড়িটা প্রায় ৯০ বছর আগের বাড়ি।

তিনি আরও বলেন, পরিবর্তন হওয়ার পর আশেপাশের মানুষ এটাকে নিজের জায়গা ভাবতে শুরু করছে। কিন্তু আমরা এটা হতে দিবো না। এটা নারায়ণগঞ্জের ঐহিত্যবাহী বাড়ি। এই বাড়ির বহু ইতিহাস ঐহিত্য রয়েছে। এই বাড়ি আমরা সহজে দখল হতে দিবো না।

জানা যায়, ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া এলাকার এই বায়তুল আমান থেকে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলো এই বায়তুল আমান। ভবনের মালিক খান সাহেব ওসমান আলী থেকে শুরু করে তার পরিবারের সদস্যরা বংশ পরম্পরায় এই পরিবারের এই বাড়িতে বসবাস করেন।

তবে খান সাহেব ওসমান আলীর ছেলে একেএম শামসুজ্জোহার তিন ছেলে মরহুম একেএম নাসিম ওসমান, একেএম সেলিম ওসমান ও একেএম শামীম ওসমান এখানে বসবাস করতে না। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরপরই চাষাঢ়া বায়তুল আমান ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করেছিল ছাত্র-জনতা। ওই সময় ভবনের আসবাবপত্র বের করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

পরবর্তীতে গত ৬ ফেব্রুয়ারী রাতে এই বাইতুল আমানকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। তার আগে সন্ধার পরপরই মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর শহরের মিশনপাড়া এলাকায় বিভিন্ন পর্যায়ের বিক্ষুদ্ধ জনতা জড়ো হয়। এরপর সেখান থেকে একটা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের চাষাড়া এলাকার বায়তুল আমানের সামনে আসেন।

একই সাথে সেখানে আগে থেকেই রাখা ছিলো বুলডোজার। এর পরই গুড়িয়ে দেয়ার কাজ শুরু হয়। প্রথমে বুলডোজার দিয়ে বাইতুল আমানের সীমানা ভেঙ্গে দেয়া হয়। এরপর ভবন ভাঙার কাজ শুরু করা হয়।

এদিকে বায়তুল আমান গুড়িয়ে দেয়ার পরে গত দুই মাস ধরে একই রকম ভাবে ধ্বংস্তুপ অবস্থায় পড়ে ছিল। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছিল বায়তুল আমানের গুড়িয়ে দেয়া অংশের ধ্বংসস্তুপ অপসারণ করে সেটা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জন্য অবমুক্ত করে দেয়া হবে। তবে সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। এরই মধ্যে বায়তুল আমানের জায়গা দখলের পাঁয়তারা করে যাচ্ছে একটি চক্র।

Islam's Group