নগরীর বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় ভেসে বেড়াচ্ছে গ্যাসের গন্ধ। এতে করে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি এটাকে অনেকটা ঝুঁকিপূর্ন মনে করছেন তারা। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
তবে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তারা বলছেন এখানে ভয় বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
শহরের গলাচিপা, বঙ্গবন্ধু সড়ক, কালীরবাজার স্বর্ণপট্টি এলাকা সহ বেশ কিছু স্থানে এমন গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আসলে গ্যাসের কোনো গন্ধ নেই। আমাদের লাইনগুলোতে কোথাও কোনো লিকেজ হচ্ছে কিনা সেটি বুঝার জন্য লাইনে ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর অন্তর অডারেড নামক একটি লিকুইড মেশানো হয়। এটা গ্যাস যেখান থেকে উত্তোলন এবং বিতরণ করা হয় সেখান থেকেই ছাড়া হয়। সেই জন্যই হয়তো বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক(সদর) প্রকৌশল ইমরান হোসেন জানান, প্রকৃত পক্ষে গ্যাসের কোনো গন্ধ থাকায় লিকেজ পরীক্ষা করার জন্য লাইনে অডারেড নামক একটি লিকুইড পুষ করা হয়। তখন যদি কোথাও কোন লিকেজ থেকে থাকে সেই লিকেজ দিয়ে অডারেডের গন্ধ বের হয়। আমাদের জরুরি টিমের কাছে বেশ কয়েকটি কল এসেছে। তারা সেসব স্থানে গিয়ে চেক করে দেখেছেন। তেমন কোনো লিকেজ পাওয়া যায়নি। ফলে সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাছাড়া বর্তমানের নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের প্রেসার অনেক কমে গেছে, বেশ কিছু অভিযোগ আমরা কারখানা গুলো থেকে পেয়েছি। অডারেডের গন্ধে সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই।
আপনার মতামত লিখুন :