গত কয়েক দশকে নারায়ণগঞ্জ শহরের দিগুবাবুর বাজারের ইজারা বাড়তে বাড়তে ৫ লাখ থেকে এখন ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা গিয়ে ঠেকেছে। এতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কোষাগার ভারী হলেও রহস্য সৃষ্টি হয়েছে অনেকের মনে। সবার একটিই প্রশ্ন এই বাজারে এমন কি রহস্য লুকিয়ে আছে যে পৌনে দুই কোটি টাকায় ইজারাদার এটির ইজারা কিনে নিলো।
জানা গেছে, কয়েক দিন আগে নগর ভবনে ১ বছরের জন্য শহরের দিগুবাবুর বাজারের দরপত্র বিক্রি করা হয়। তখন বেশ কয়েকজন দরপত্র কয় করলেও সর্বোচ্চ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দাম দিয়ে ইজারা পান জাহিদুল ইসলাম। তার সাথে এক ব্যক্তি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাকিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তার চেয়েও অধিক দাম দিয়ে ইজারা পান জাহিদুল ইসলাম।
সূত্র বলছে, দিগুবাবুর বাজারের ইজারা নেয়ার ক্ষেত্রে জাহিদুল ইসলামের নাম ব্যবহার করা হয়েছে শুধু। তবে পেছনে রয়েছে প্রয়াত শ্রমিক নেতা আমিনুল সেক্রেটারির ছেলে ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর আত্মীয় যুবলীগ নেতা রুবেল। আইভী মেয়র থাকাকালে তিনি বেশ কয়েকবার দিগুবাবুর বাজারের ইজারা পেয়েছিলেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের ভাষ্য, রুবেল ও তার সহযোগীরা দিগুবাবুর বাজারের গোপন রহস্য জানে। তারা আরো বেশি টাকা দিয়ে টেন্ডার নিলেও লাভবান হবে। তবে তাদের জায়গায় অন্য কেউ তা পারবেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফিক নামে বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দুই কোটি টাকা দিয়ে এই বাজার নিছে শুনছি। এখন আমাদের মাশুল গুনতে হইব। যেই লোক ১০০ টাকা দিয়া দোকান বসাইত, তার এখন ২০০ টাকা দিতে হইব। আর মীর জুমলা সড়কে আবারো দোকান বসাইব। এছাড়া এতো টাকা উঠানের কোনো রাস্তা নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, রুবেল সাহেবের অনেক ব্যবসা আছে। তার সম্পদও আছে এখানে। এখন অতিরিক্ত টাকা দিয়া যেহেতু বাজার নিসে তাই সেই টাকা তো তোলতে হবেই তার। কিভাবে টাকা তুলবে তা জানিনা তবে তাদের হাতে লস হইবনা। বাজারের অনেক কিছু আছে যা কেউ জানেনা কিন্তু তারা জানে।
এদিকে কি কারণে এতো টাকা দিয়ে দিগুবাবুর বাজারে ইজারা নেয়া হলো জানতে নতুন ইজারাদার জাহিদুলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে নাসিকের বাজার কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, দিগুবাবুর বাজার রেকর্ড দামে ইজারা দেয়া হয়েছে। এর আগে এতো দামে ইজারা কেউ কেনেনি। তবে কিভাবে এই টাকা ইজারাদার উঠাবে তা তিনিই ভালো জানে আমরা জানিনা।
আপনার মতামত লিখুন :