সোনারগাঁয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হওয়ার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ডাকাতির ঘটনা প্রতিহত করতে উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভা অর্জুন্দী ও ভট্রপুর এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসীরা।
উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের অর্জুন্দী গ্রামে সরজমিনে গিয়ে দেখে যায়, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২৫/৩০ জন পুরুষ লোক লাঠি ও টচ লাইট হাতে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন।
গ্রামের মানুষদের একত্রিত করে সাতটি গ্রুপ তৈরি করে এভাবে পালাক্রমে সাত দিন পাহারা দেয়া হয় বলে গ্রামবাসীরা জানায়।
১৭ মার্চ সোনারগাঁও পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের নোয়াইল গ্রামে ব্যবসায়ী মামুন মিয়ার বাড়িতে ডাকাতদল হানা দিয়ে তার স্ত্রী মনি আক্তারকে (৪৮) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আশেপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে আরও বেশি ডাকাত আতঙ্ক বৃদ্ধি পায়।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলার একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার ও অর্জুন্দী গ্রামের বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ডাকাতেরা ডাকাতি করার সময় মানুষের আর্থিক সহ শারিরীক ক্ষতি করে যাচ্ছে। একথা চিন্তা করে আমরা আমাদের গ্রামে পাহারা দেওয়া শুরু করেছি। গ্রামে পাহারা দেওয়া শুরু করার পূর্বে গভীর রাতে অপরিচিত কিছু লোককে মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার নিয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে আসা যাওয়া করতে দেখতাম। আমরা পাহারা শুরু করার পর এসব মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, চোর-ডাকাত যে-ই আসতো সে-ই অপরিচিত গাড়ি এবং মানুষের চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।
বানীনাথপুর, ভট্রপুর, ষোলপাড়া গ্রাম উন্নয়ন সংগঠনের আহবায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মাস্টার বলেন, আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে ডাকাতি হওয়ার পর আমরা আমাদের সংগঠনের সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে ডাকাত প্রতিহতকরার জন্য গ্রাম পাহারা শুরু করি।
আপনার মতামত লিখুন :