ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও এমপিদের আস্থাভাজন শওকত আকবর আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বন্দরের মালিবাগ এলাকায় গড়ে তুলেছিল একক আধিপত্য ও এক সন্ত্রাসী বাহিনী। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবে জমি দখল, প্রতারণা, বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি সহ নানা অপকর্মের হোতা শওকত আকবর এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে। হাসিনা ও তার মন্ত্রী-এমপিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও শওকত আকবর এখনো এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বীরদর্পে। পেশায় তিনি একজন শিক্ষক হলেও এলাকায় রয়েছে তার সন্ত্রাসী বাহিনী। শওকত আকবর জমি ক্রয়-বিক্রয় জাল জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় জোসনা নামে এক নারী মানষিক রোগী হয়ে পড়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বন্দরের মালিবাগ গ্রামের আনোয়ার আলী প্রধানের ছেলে শওকত আকবর। শওকত আকবর আওয়ামী লীগের দলীয় পদপদবিতে না থাকলেও সাবেক এমপি শামীম ওসমান, এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ রশীদ সহ আরো একাধিক নেতা আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে আসতেন তার বাড়িতে।
এ বাহিনী নিয়ন্ত্রণে জমিদখল, মাদক কারবারি ও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাই ডাকাতি সহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগটিত হতো। পাশ্ববর্তী বটতলা গ্রামের হাবিবুল্লাহ মিয়ার ছেলে স্থানীয় বিএনপি কর্মী মঞ্জু মিয়ার জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করে শওকত আকবর।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান শওকত আকবর। দুইমাস আত্মগোপনে থাকার পর স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে মহানগর বিএনপির শীর্ষ এক নেতাকে ম্যানেজ করে এলাকায় ফিরে আসেন। ফিরে এসেই মহানগর বিএনপির ওই নেতার আর্শীবাদে মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ নিয়ে তিনি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিক মনির হোসেনকে হুমকিদমকি ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতার বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে শেষ পর্যন্ত তিনি আর ওই স্কুলের সভাপতি হতে পারেননি।
আপনার মতামত লিখুন :