গত দুইদিনের বৃষ্টিতে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা। এলাকাবাসীর মতে আবারো এ ধরনের বৃষ্টি হলে অনেক এলাকা তলিয়ে যাবে। তখন ফতুল্লাবাসীকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
ফতুল্লার লালপুর, কাঠেরপুল, পৌষাপুকুরপাড় ইসদাইর এলাকাতে দেখা গেছে, এই এলাকায় একসময় লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করতো। বিগত দিনে এখানে প্রচন্ড জলাবদ্ধতা দেখা দিত। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার কারণে অনেক পরিবার অন্যত্র চলে যাওয়ার এখন এলাকায় কত সংখ্যক মানুষ বসবাস করেন তা জানাতে পারেনি এলাকাবাসী। তবে কিছু মানুষ এই জলাবদ্ধতার মধ্যেও বসবাস করছেন। যাদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী, অসুস্থ রোগী রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। যাতায়াতের জন্য নৌকা এবং ভ্যানগাড়ি থাকায় যুবকদের ভোগান্তি তুলনামূলক কম হলেও শিশু, বৃদ্ধ, রোগী এবং গর্ভবতী নারীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে জলাবদ্ধতার কারণে ভয়াবহ দুর্ভোগের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁরা।
বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও শিল্প কারখানা। দুর্ভোগে পড়েছিল লাখ লাখ মানুষ। সড়কের কোথাও হাটু আবার কোথাও ছিল কোমর সমান পানি।
ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর, ফতুল্লা স্টেশন রোড, হাজী বাড়ি রোড, উকিলবাড়ি, লালখা, শিয়াচর, সস্তাপুর, রামারবাগ, এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সড়কে জমে আছে পানি। ড্রেন থাকলেও তাতে ময়লা আবর্জনায় পূর্ণ। ড্রেন থাকলেও পানি সরে যাবার কোন চিহ্ন নেই। বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও গোড়ালির উপরে পানি উঠে যাচ্ছে। হেঁটে রাস্তা পার হতে গেলে কাঁদা পানির বিড়ম্বনার শিকার হতেই হয়েছে বাসিন্দাদের। কল কারখানার শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তি নিয়েই নিজ কর্মস্থলে আসা যাওয়া করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে এমন ভোগান্তি অব্যাহত থাকলেও সমাধান করতে পারেননি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। বরং প্রতিবছর আলোচনা শুরু হলে ডিএনডি প্রজেক্টের কাজ চলমান বলেই দায় সারা হয়। অথচ বছরের পর বছর কেবল চলছেই এই প্রজেক্টের কাজ। কবে নাগাদ সমাপ্ত হবে কাজ তা জানেননা কেউ। শুধু তাই নয়, প্রজেক্টের পূর্বে এবং পরেও খুব একটা সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। সবশেষ গতবছর বেশ ঘটা করে ফতুল্লার ভেতরে থাকা খাল, ড্রেন পরিস্কার করা হলেও এবার খুব একটা কাজে দেয়নি। বরাবরের মত এবারও জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয়েছে বাসিন্দাদের।
এদিকে ফতুল্লা বাসীর জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য চলমান ডিএনডি প্রজেক্টের কাজ সমাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে গত বছর খাল উদ্ধারের পাশাপাশি সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে জোড় দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সেই কার্যক্রমের বেশীদূর অগ্রগতি দেখেনি কেউ।
আপনার মতামত লিখুন :