News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে যুবলীগ নেতা ডাকাত রতন!


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে যুবলীগ নেতা ডাকাত রতন!

এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছেন ডাকাতির ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগের অন্যতম আসামি যুবলীগ নেতা রতন মিয়া। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণালংকার বিক্রির টাকা ডাকাতির পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

এদিকে, এ ঘটনার পর বাদীকে মোবাইলে গালিগালাজ করেন রতন মিয়া। এতে তিনি বলেন, ‘এবার খেলা দেখামু নি। কুত্তাডার মতোন তোরে গুলি করে দিমু। তোর লগে যেসব চামচা থাকে ওদেরকে পেট্টোল দিয়ে পুড়ায় মেরে ফেলমু। আমার নাম রতন, যা কিছু আছে সবকিছু জ্বালায় পুড়ায় দিমু দেখবি।

এর আগে, রাতে ফতুল্লার বক্তাবলী চরপ্রসন্ন নগর এলাকায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির এবং সঙ্গে থাকা নগদ টাকা লুট করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন রতন মিয়া এবং তার বাবা তাইজুল ইসলাম। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা তাকেসহ তার পরিবারের লোকজন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে। গত ২৩ এপ্রিল সকালে তার পরিবারের লোকজনের ব্যবহৃত সর্বমোট ১৬ ভরি, ৬ আনা, ২ রতি স্বর্ণালঙ্কার বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ও তার সহকর্মী হাফিজুল্লাহ (৫০), আইনউদ্দিন (৫৫), হাবিব (৪৫) ও ড্রাইভার জাকির হোসেনকে (৪০) সঙ্গে নিয়ে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় স্বর্ণালঙ্কার বিক্রয় করে। ওইদিন রাতেই ঢাকা থেকে প্রাইভেটকারযোগে বাড়িতে আসার পথে ফতুল্লার বক্তাবলী চরপ্রসন্ন নগর এলাকায় অভিযুক্তরা ধারালো রাম, চাপাতি, ছোরা, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। তখন আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে তার গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। আসামিরা এলোপাথারি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। আসামিরা তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে এবং তার সঙ্গে থাকা নগদ ২২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামিরা চলে যাওয়ার সময় তাদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। তার ছবি সম্বলিত একাধিক ব্যানারে দেখা গিয়েছে, তিনি বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা। একই সঙ্গে ফেস্টুনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর ছবি রয়েছে। গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও তিনি নিজ এলাকায় দাপটের সঙ্গে সব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এখনো পর্যন্ত তাকে কেনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না এ নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলমান রয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

Islam's Group