সোনারগাঁ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবৈধ ভাবে গ্যাস লাইন নিয়ে ৩টি গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের জনজীবন বিপর্যস্ত করার প্রতিবাদে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি ও অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করছে এলাকাবাসী। এসময় ৫টি অবৈধ লোহা গলানোর কারখানা ও চুনা ফ্যাক্টরি ভাঙচুর করা হয়েছে।
শনিবার ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টায় উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পনগরী এলাকার ঝাউচর চৌরাস্তায় মেঘনা গ্রুপের অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে বাসা বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ ও এলাকার প্রভাবশালীদের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠা ৫ টি লোহা গলানোর কারখানা ও চুনা ফ্যাক্টরি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ভাঙচুর করে ভুক্তভোগী ৩ গ্রামের এলাকাবাসী।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী ঝাউচর গ্রামের বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, 'দীর্ঘ ৩ বছর ধরে আমরা ফ্রেশের (মেঘনা গ্রুপ) অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ গ্রামের বৈধ গ্যাসের গ্রাহকদের জনজীবন অতিষ্ট করে ফেলেছে। একইসাথে ৫ আগষ্টের পর এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ৫ টি লোহা গলানোর কারখানা ও চুনা ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। এ বিষয়ে সোনারগাঁ জোনের তিতাস কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি৷ আমরা সকল অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানাচ্ছি'।
ভুক্তভোগী বিউটি খাতুন বলেন,'আমাদের আজকের বিক্ষোভে কোন পুরুষ নেই কারণ কেউ মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই তারা মামলা দিয়ে দেয়। মান্নান সাহেবের কাছে আসছি যেন এই ভোগান্তির একটা সমাধান তিনি দেন'।
ঝাউচর গ্রামের আরেক বাসিন্দা মোতালেব মিয়া বলেন,'গ্যাসের বৈধ গ্রাহকদের বাড়িতে গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্য আজ ঝাউচর গ্রামে অবস্থিত অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করে এমন ৩ টি লোহা গলানো ফ্যাক্টরি এবং ২টি অবৈধ চুন ফ্যাক্টরি ভাঙচুর করেছে এলাকাবাসী।
মেঘনা গ্রুপে জিএম (এডমিন) জামিলুর রহমান বলেন, 'কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজের পর এই এলাকায় এমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়টা আমি দেখিনা আর এলাকাবাসীর ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ আমরা করবো না'।
তিনি আরো বলেন, 'মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে গ্যাসের বিল সংক্রান্ত মামলা চলমান, আদালতের রায় আমাদের বিরুদ্ধে গেলে আমরা গ্যাস বিল পরিশোধ করবো। আর মেঘনা গ্রুপ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিবে না'।
তিতাস গ্যাস সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সুরজিত কুমার সাহা'কে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে তাকে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানান, গতকাল আন্দোলন করেছিলো সে বিষয়ে অবগত আছি। কিন্তু আজকে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের বিষয়ে অবগত নই।
আপনার মতামত লিখুন :