মেয়াদোর্ত্তীণ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটি যে কোন সময়ে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি জনসভার আগে বা পরে মহানগর বিএনপি নতুন কমিটি আসতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটির এক সদস্য।
তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২৯ মাস শেষ হলো মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটি। মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হলেও পরদিন ১৫ সদস্য বিদ্রোহী প্রকাশ করে সমালোচনা শুরু হয়েছে। গত ২ বছর ৫ মাসও মহানগর বিএনপি ওয়াকিং কমিটির সভা করতে পারেনি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানকে ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান। তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা কোনঠাসা হলেও সক্রিয় ভূমিকা ও ক্লিন ইমেজে প্রশংসিত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সূত্রে জানতে পেরেছি জাতীয় ইস্যুগুলো চলমান রয়েছেন দ্রুত সময়ে মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হবে। সাথে সাথে নতুন কমিটি দেয়া হবে না। আগ্রহ নেতাদের মধ্যে ক্লিন ইমেজ ও নেতা-কর্মীদের জনপ্রিয় নেতাকে মহানগরের নতুন কমিটিতে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে গত বছর ৫ আগস্টের পর সমালোচিত নেতারা ছিটকে পড়তে পারে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গহীন হয়ে পড়ে আছে। আহবায়ক ও সদস্য সচিবের একক সিদ্ধান্তে কারণে বাকি সদস্যরা নিস্ক্রিয়তা রয়েছেন। ২বছর ৫মাস (২৯মাস) হিসেবে মেয়াদোর্ত্তীর্ণ হলেও অদ্যবধি সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। এ ছাড়াও সম্প্রতি দলের জোটের এক নেতার একটি অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত মহানগর বিএনপির কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। যেকোন সময়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করতে যাচ্ছে কেন্দ্র এমন বার্তা পাওয়া গেছে গত সপ্তাহ থেকে।
হাইকমান্ড সূত্রে জানা গেছে, মহানগর বিএনপি নতুন কমিটি গঠনকল্পে ইতোমধ্যে কয়েকটি কমিটি জমা পড়েছে কেন্দ্রে। ওসব কমিটিগুলো জমা পড়লেও আমলে নেয়নি কেন্দ্র। আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে সক্রিয় ও ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে ক্লিন ইমেজের নেতাকে দলের পদের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হবে। চলতি সপ্তাহে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহানগর বিএনপির নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করতে পারনে। বিচক্ষণ এবং রাজপথের ও ক্লিন ইমেজ সংক্রান্ত সকল সংগৃহিত তথ্য বিবেচনা করে নতুন নেতৃত্বের হাতে কমিটি তুলে দেবেন।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক ও আবু আল ইউসুফ খানকে সদস্য সচিব করে মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে কমিটিতে থাকা বহিষ্কৃত আতাউর রহমান মুকুল, আব্দুস সবুর খান সেন্টু, হাজী নুরুদ্দিন ও আবুল কাউসার আশা নেতৃত্বে ১৫ জন বিদ্রোহী নেতা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। তার পর থেকেই মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। আর বিভক্ত হওয়া আকাংশ বিএনপিতে থাকা পুরাতন বহিষ্কৃত নেতাদের সাথে একত্রিত হয়ে মহানগর বিএনপির বিদ্র্রোহীরা আলাদাভাবে রাজপথে কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :