নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের বিরুদ্ধে এবার ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষে আদালতে শুনানীতে অংশ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে যারা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে থাকতে দেয়নি।
আর তাদের পক্ষেই আইনি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। একই সাথে এই মামলার বাদী হিসেবে রয়েছেন আড়াইহাজার থানা দুপ্তারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইন। বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা থাকা সত্বেও সাখাওয়াত হোসেন খান নিজ দলীয় লোকজনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
ইকবাল হোসেন বলেন, আড়াইহাজারের বান্টি এলাকার সোহাগ, সেলিম, বাবু, রনি, শিপলু, মাশকুর, মোকতার, রাসেল, পাবেল, ইমান আলী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকেই আমাদের উপড় অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরও তারা আমাদের উপড় অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১ মার্চ আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করেছে। আমার পরিবারের সদস্যদের কুপিয়েছে। এই ঘটনায় আমি মামলা করেছি। যে মামলার আসামীর তালিকায় রয়েছে দুপ্তারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা বাবু, দুপ্তারা ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ড সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রনি ও দুপ্তারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ইমান আলী। আর তাদের পক্ষেই আদালতে আইনি লড়াই করে যাচ্ছেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
ইকবাল হোসেন বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান আমার সাথে না থেকে তিনি যুবলীগ, ছাত্রদল ও আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়েছেন। যা কখনও কাম্য করি নাই। আমার নিজ দলের আইনজীবী আমার পাশে থাকছেন না।
এ বিষয়ে ইকবাল হোসাইনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল বলেন, আসামীরা নজরুল ইসলাম বাবুর লোকজন। বাবুর সাথে তাদের বিভিন্ন ছবি রয়েছে। আসামীরা ফ্যাসিস্টদের দোসর। আওয়ামী লীগ সরকার চলে যাওয়ার পরও তারা যে ঘটনা ঘটিয়েছে সেই ঘটনাতেই প্রমাণ হয় তারা কত হিংস্স্র।
তিনি আরও বলেন, তাদেরকে যদি শাস্তির আওতায় না হয় তাহলে ভবিষ্যতে আরও এরকম অপকর্ম করতে থাকবে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করাটা কষ্টকর হয়ে যাবে। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। আর সাখাওয়াত হোসেন খান তাদের পক্ষে আইনি লড়াই কেন করছেন সেটা বলতে পারছি না। উনি হয়তো উনার পেশাকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সাবেক যুবদল নেতার মামলার আসামী কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সহ সহ সভাপতি আলিমুদ্দিন ও তার ছেলে পনির হোসেন ও শহিদুল মিয়া যথাক্রমে কাঞ্চন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাঞ্চন পৌরসভা ছাত্রলীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছিলেন। যা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে নানা আলাপ আলোচনা সরগরম ছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :