বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মূল্যায়নের অপেক্ষায় দিন কাটছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। গত ৫ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি বার্তা প্রকাশ করেন। ওখানে তিনি বলেছেন, আমি কি হবো বা কি পাবো তা জানি না। এমপি ও মন্ত্রী এবং মেয়র বুঝি না। সব কিছুর মালিক রাব্বুল আলামীন। রাজনৈতিকভাবে দলীয় হাইকমান্ড আমার রাজনৈতিক অভিভাবক জননেতা তারেক রহমান। তিনি আমাকে যেখানে দায়িত্ব দিবেন আমি সেটাই পালন করবো। শুধু জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমার আত্মবিশ্বাস আমার রাজনৈতিক অভিভাবক জননেতা তারেক রহমান আমাকে বঞ্চিত করবে না। আমার ত্যাগ ও শ্রমের মূল্য অবশ্যই দিবেন। আমি শুধু জননেতা তারেক রহমানের দেওয়া আমানত রক্ষা করতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
এদিকে ফেসবুকে আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশায় পোষ্টার ছড়িয়েছে তার সমর্থকরা। এতে বেশিভাগ তাকে এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে তাকে সমর্থন দিয়েছেন অনেকে। নিজ নিজ উদ্যোগে নেতাকর্মীরা এ সংক্রান্ত ব্যানার, পোস্টারও প্রচার করেছেন। প্রায় আড়াই বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটিকে একাই আগলে রেখেছেন টিপু। সেসময় রাজপথে সিনিয়র অনেক নেতার দেখা না পাওয়া গেলেও টিপু একাই দলকে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে সুসংগঠিত করেছিলেন। এর আগে বিএনপির দলীয় কর্মসূচিগুলো শহরের বালুরমাঠে, ফুটপাতেই সীমাবদ্ধ থাকত। সেখান থেকে মূল সড়কে দলকে টেনে তেলেন টিপু। আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শহরের প্রানকেন্দ্রে একের পর এক সভা সমাবেশের আয়োজন করতে থাকেন টিপু।
রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পান টিপু। মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আসার পর থেকে দলকে গুছিয়ে তোলার কাজ শুরু করেন তিনি। টিপুর নেতৃত্বে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ গুলোতে বিএনপি একের পর এক তাক লাগানো শোডাউন করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দিলে রাজপথে টিপু ছাড়া বিএনপির অন্য কোন নেতাকে দেখা যায়নি। ২৮ অক্টোবরে পর হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিগুলোতে দিনভর শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঝটিকা মিছিল নিয়ে প্রশাসনকে অস্থির করে তোলেন টিপু। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর হরতালের সমর্থনে মিছুল বের করার সময় রাজপথ থেকে গ্রেপ্তার হন টিপু।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, টিপুর মত নেতা যারা রাজপথে দীর্ঘ সতেরো বছর আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিল। যারা সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে আগামীতে তাদেরই মূল্যায়ন করা উচিত। তা না হলে ভবিষ্যতে দলের জন্য এটা ভাল ফলাফল বয়ে আনবে না। সামনে যদি আবার দুঃসময় আসে তখন আর কেউ দলের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতে চাইবে না। দল তখন কর্মী খুঁজে পাবে না।
এদিকে বিগত দিনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে সক্রিয় ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন আগামীতে দলে পদায়নের ক্ষেত্রে ও নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদেরই অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের সিনিয়র ও তরুণ নেতাদের সমন্বয়ে দলের কমিটি গুলো হবে এবং একইভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :