আওয়ামী লীগের ফেরা নিয়ে নতুন একটি ষড়যন্ত্র আসার চক্রান্ত চলছে বলে জানিয়েছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি এও দাবি করেছেন, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দলটিকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি উঠে আসছে। তাদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গেও হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রনেতা ও অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন পক্ষ। আন্দোলনকারী ছাত্রদের চাপের মুখে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগকে গত বছর অক্টোবরে নিষিদ্ধও করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি শেষ দিকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সারাদেশের নেতাকর্মীদের দলীয় কর্মসূচী পালন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ছবি ও ভিডিও আপলোড করে যাচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিক বার বলে যাচ্ছেন, আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছে। 'রিফাইন্ড' আওয়ামী লীগ নামে নতুন একটি 'টেবলেট' নিয়ে শীঘ্রই হাজির হবে।
এদিকে ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা নারায়ণগঞ্জ সহ সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে পালিয়ে। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আগে পরে পলাতক নেতারা বিদেশের মাটিতে দাপটে রয়েছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দুবাই, ফ্রান্স ও ভারতের মত দেশে ঘুরে ফিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সক্রিয়া করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এরই মধ্যে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান তার একাধিক প্যাজের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছেন।
মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু ও সাফায়েত আলম সানির নেতৃত্বে ফেসবুক ও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জেলা মহানগর উপজেলা থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাদের সাথে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতা হতাহত ঘটনায় একাধিক মামলা নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো থেকে কৌশলে জামিনে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের নেতারা নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। নতুন করে কোন মামলা না হওয়ায় আগষ্ট থেকে লাগাতার মামলায় জামিন নিয়ে নিশ্চুপ রয়েছে একাধিক নেতারা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। তাদের বেশিভাগ মোবাইল নম্বরটি বন্ধ ছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :