আবারো আলোচনায় নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান। গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে স্ব-পরিবারে দেশ ছেড়ে পালান তিনি। বর্তমানে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি শামীম ওসমানসহ তার কয়েকজন বন্ধুকে আমেরিকার এক রেঁস্তোরায় কফি পান করতে দেখা গেছে। তবে ওই সময় সাবেক এই প্রভাবশালী এমপিকে বেশ চিন্তিত মনে হয়েছে। অন্যদিকে একটি জাতীয় পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে শামীম ওসমানসহ আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ পলাতক নেতা এখন বিদেশে বসে বাংলাদেশে রেখে যাওয়া তাদের ব্যবসা ও সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যখন শামীম ওসমান দেশে ছিলেন তখনও তিনি নানা কারণে আলোচনায় এসেছিলেন। এরমধ্যে সাত খুন আর ত্বকী হত্যার ঘটনার পর দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন তিনি। এছাড়া, ‘খেলা হবে’ সংলাপের কারণেও দেশ এবং দেশের বাহিরে পরিচিত তিনি। তবে সচেতন মহল বলছে, নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্যই বেশির ভাগ সময় আলোচনায় এসেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওসমান পরিবার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন বলে জানা গেছে। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমানের ছিলো বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। গার্মেন্টসের ঝুঁট, ইন্টারনেটসহ সরকারি ঠিকাদারী নিয়ন্ত্রণ করতো তাদের লোকজন। এছাড়া বড় বড় জমির ব্যবসায়ও হাত ছিলো তাদের। শামীম ওসমানের দুই শ্যালক তানভীর আহম্মেদ টিটু, আহসানুল হক নিপু ক্ষমতার অপব্যবহার করে হয়েছেন শতকোটি টাকার মালিক। অন্যদিকে তাদের অনুসারীরাও কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন অবৈধ ভাবে। যার ফলে ৫ আগস্টের পর ওসমান পরিবারের সদস্যদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
এরমধ্যে ৫ আগস্ট বিকেলে শহরে জামতলা এমপি গলিতে অবস্থিত শামীম ওসমানের বাসভবনে ভাংচুর করা হয়। বর্তমানে ওই বাড়ির দরজা, জানালা, আসবাবপত্র থেকে শুরু করে কিছুই অবশিষ্ট নেই। বাড়ির কিছু জায়গায় ইটও খুলে নিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। একই দিন উত্তর চাষাড়া এলাকায় তার বড় ভাই সেলিম ওসমান ও কলেজ রোড এলাকায় ভাতিজা আজমেরী ওসমানের অফিসে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এর কয়েক মাস পর চাষাড়া লিংক রোডের পাশে অবস্থিত শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি বায়তুল আমান ভবন বুলড্রোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় স্থানীয় বিএনপি নেতারা। এখন অনেকে বলছে, ওসমান পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্ম তথা শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের রাজনৈতিক অধ্যায় হয়তো শেষ।


































আপনার মতামত লিখুন :