স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন নিয়ে জাকির খান পরিবারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক দিদার খন্দকার। এই ওয়ার্ডে একাধিকবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছেন জাকির খানের আপন চাচা মনির হোসেন খান ও দিদার খন্দকার দুজনই। কিন্তু দিদার খন্দকারকে নির্বাচনের জন্য নিষেধ করলেও তিনি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে জাকির খানকে পরিবারকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছেন দিদার খন্দকার। জাকির খান পরিবারের নাম ভাঙিয়ে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেলেও দিদার খন্দকার এখন জাকির খান পরিবারকে পল্টি দিতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ মহানগরীর দেওভোগ এলাকায় ঈদ সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে দিদার খন্দকার সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তবে এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ঘোষণা অনেক আগেই দিয়েছেন জাকির খানের আপন চাচা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন খান। মনির হোসেন খান নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে দিদার খন্দকারকে নির্বাচনে দাঁড়াতে নিষেধও করা হয়েছিল। কিন্তু দিদার খন্দকার এখন জাকির খান পরিবারকে পল্টি দিয়ে নিজেই জাকির খান পরিবারকে টপকানোর স্বপ্ন দেখছেন।
এদিকে বর্তমানে দিদার খন্দকার নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির ভুয়া যুগ্ম আহবায়ক ও ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির ভুয়া সভাপতি পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বিদ্রোহ করে এই ভুয়া কমিটি ঘোষণা করেছিলেন। দিদার খন্দকার মহানগর বিএনপির আওতাধীন কোনো কমিটিতেই নাই। এই ভুয়া পরিচয় দিয়ে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে দিদার খন্দকার। এই পরিচয়ে নগরীর টার্নিমাল ঘাট দখল করে মাসে কোটি টাকা আয় করছেন জাকির খানের নাম ভাঙিয়ে।
এর আগেও দিদার খন্দকার সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের ছায়াতলে থেকে এই ঘাটটি পরিচালনা করে আসছিলেন। সেলিম ওসমানের হয়ে ঘাটটি পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতেও সরব হয়ে ওঠেছিলেন দিদার খন্দকার। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর থেকে দিদার খন্দকার বিএনপির রাজনীতিতে সরব হোন। জাকির খানের নাম ভাঙ্গিয়ে ঘাটটি দখলে নেন তিনি। অথচ সেই পরিবারকে টপকাতে নতুন করে কাউন্সিলর নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন দিদার খন্দকার।
আপনার মতামত লিখুন :