নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও গাজী গ্রুপের পরিচালক গোলাম মতুর্জা পাপ্পার একান্ত সহকারী (পিএস) কামরুজ্জামান হিরাকে (৪৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল বুধবার ঢাকার রমনা এলাকা থেকে গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ’গ’ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জে কামরুজ্জামান ছিল সাধারণ মানুষের জন্য আতঙ্কের নাম। গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার শেল্টারে কামরুজ্জামান হীরা রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালাতো। রূপগঞ্জের কিশোরগ্যাং চলতো তার নিয়ন্ত্রণে। হীরা কিশোর ও যুবক বয়সী ছেলেদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াতে তাদের হাতে অস্ত্র ও মাদক তুলে দিতো। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পল্টনে সাবেক মন্ত্রী গাজী ব্যাবসায়িক কার্যালয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের পেটে গুলি করে। এ ঘটনায় পল্টনের তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলাম হীরাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ভুলতা এলাকার ডায়মন্ড ব্রিকস টাইলস প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির সময় হীরাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই সময় মন্ত্রী গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে হীরার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন। তবে কয়েকদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আবারো হীরা তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে থাকে। নিরীহদের জমিতে জোরপূর্বক বালু ভরাট, আবাসন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, পরিবহণ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে রূপগঞ্জে সকল সেক্টরের ছিল তার অবাধ বিচরণ। সাধারণ মানুষের কাছে হীরা কাচঁকাটা হীরা ও ডন হীরা নামেও পরিচিত। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে হীরা পলাতক ছিল।
জেলা ’গ’ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম জানান, গোয়েন্দা পুলিশ হীরাকে গ্রেফতারের পর রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনসহ বেশকয়েকটি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :