News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

মাকসুদ : গুপ্ত হত্যার ১৫ বছর


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ১০:১৪ পিএম মাকসুদ : গুপ্ত হত্যার ১৫ বছর

১৫ বছরেও উন্মোচিত হলোনা গুপ্ত হত্যার শিকার নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরুল আমিন মাকসুদ খুনের রহস্য। অদ্যাবধি কোন অগ্রগতি হয়নি সেই মামলার। মাকসুদ বাংলাদেশ তরুন লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে ঢাকার র‌্যাডিসন হোটেলের সামনে নিখোঁজ হয় নুরুল আমিন মাকসুদ। পর দিন ১৮ এপ্রিল সকালে গাজীপুরে তার রাস্তার পাশে তার লাশ পরে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করে। এ ব্যাপারে নিহত মাকসুদের বড় ভাই রুহুল আমিন বাদশা বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিরেন।

হত্যাকান্ডের পর যানাজাস্থলে ওই সময়কার জাতীয় পার্টির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি নাসিম ওসমান (বর্তমানে প্রয়াত) দাবি করেন, ৫-৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত খুনীদের সনাক্ত করা সম্ভব।

কিন্তু ১৫ বছরেও চিহ্নিত করা হয়নি কে বা কারা কী কারণে মাকসুদকে হত্যা করেছে। এর পেছনে রাজনীতিক কোন উদ্দেশ্য নাকি অন্য কোন কারণ ছিল সে প্রশ্নের জবাবও মেলেনি এখনো।

ওই যানাজাতে শামীম ওসমান বলেন, নুরুল আমিন মাকসুদকে হত্যা করা হয়েছে। এর নেপথ্য ঘটনা উদঘাটন ও দোষীদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে ভালোবাসেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৫ বছরেও মাকসুদ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় আমরা হতাশ। প্রশাসন এখনও তার হত্যাকান্ডের কোন তথ্য বের করতে পারেনি। মামলাটি নিয়ে গাজীপুর পুলিশের নীরব ভূমিকার কারনে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়ে গাজীপুর সিআইডিকে। মামলাটি বর্তমানে একেবারেই স্থবির হয়ে পড়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করা যায়নি এই ১৫ বছরেও।

সূত্র মতে, বিগত বিএনপি চার দলীয় জোট সরকারের আমলে গঠিত বাংলাদেশ তরুণ লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মাকসুদ। পরবর্তিতে তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তিনি আওয়ামীলীগ কিংবা এর সহযোগি কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ড্রেজার নিয়ন্ত্রন করার কারণে তার নাম হয় ড্রেজার মাকসুদ। তার দেশের বাড়ি বরিশাল জেলায় হওয়ায় তাকে বরিশাইল্যা মাকসুদ নামেও ডাকা হতো। ২০০১ সালে সংসদ নির্বাচনের পর পর নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায় মাকসুদ ও তার পরিবারের লোকজন। প্রথম দিকে সে তার দেশের বাড়ী বরিশালে চলে যায়। পরে সেখান হতে ভারত এবং সর্বশেষ দুবাইতে। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভারত ও দুবাইতে পালিয়ে ছিলেন মাকসুদ। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর এক মাস অগে মাকসুদ এলাকায় ফিরে আসেন। বসবাস শুরু করেন ঢাকার ধানমন্ডি ও উত্তরা এলাকায়।

Islam's Group