২০২২ সালে যখন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তখন থেকেই আলোচনা শুরু হয় এই কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের। তবে দেখতে দেখতে ২০২৫ সাল চলে আসলেও নতুন কমিটির মুখ দেখা যায়নি। সবশেষ গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও বিএনপির অনেকে বলেছিলেন যে কোনো সময় কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে।
নেতাকর্মীরা জানান, সাবেক যুবদল নেতা মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাবেক এমপি পুত্র ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আবুল কাউসার আশাসহ আরো বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় নেতার নেতৃত্বে কমিটি আসছে। কেউ কেউ আবার বলেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের নেতৃত্বেও কমিটি আসতে পারে।
অন্যদিকে মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সেই কমিটিতে আর শীর্ষ পদে রাখা হবেনা বলে মন্তব্য করেন সবাই। কিন্তু সেই আলোচনার পর বেশ কয়েক মাস কেটে গেছে অথচ মহানগরের মেয়াদোত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটি এখনো ভাঙা হয়নি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির এই গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনকি পরিচালনা করছেন আহবায়ক কমিটির নেতারাই।
তবে আগামীতে মহানগর বিএনপির কমিটি হলে সেখানে কাদের রাখা হবে সে বিষয়ে মহানগর বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। টিপুর ভাষ্য, যাদের আশেপাশে এখন মানুষের জোয়ার বইছে। তারা দলের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলোনা। তারা যদি দুঃসময়ে এতো নেতাকর্মী নিয়ে রাস্তায় নামতো তাহলে হাসিনা আরো আগেই বিদায় হতো। যারা গত ১৫ বছর বিএনপির আন্দোলনে ছিলো তারাই নেতৃত্বে থাকবে বলে জানান টিপু।
টিপু বলেন, অনেকে তো বলছে কমিটি ভেঙে দিবে। কই দিলো না তো? তারেক রহমান হিসেব করে দেখেছে যারা এখন কমিটিতে আছে তারাই বিগত দিনে রাজপথে ছিলো। আর এখন যাদের আশেপাশে মানুষের জোয়াগ দেখা যাচ্ছে তারা তো আর রাজপথেই ছিলোনা। এরা যদি এতো লোকজন নিয়ে মাঠে থাকতো তাহলে হাসিনার পতন আগেই হয়ে যেতো। সামনের কমিটিতে তারেক রহমান কোনো অযোগ্য ব্যক্তিতে পদ দিবেনা। তিনি যেই সিদ্ধান্ত নিবেন তা দলের জন্য নিবেন। কোনো ব্যক্তির স্বার্থ চিন্তা করে তিনি সিদ্ধান্ত নেন না।
আপনার মতামত লিখুন :