বাস টার্মিনাল, সিএনজি স্ট্যান্ড, বাজার ও শৌচাগারসহ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০টি ইজারা পেয়েছে বিএনপি নেতা ও তাদের অনুসারীরা। নগর ভবনে সবার উপস্থিতে ইজারাগুলো চূড়ান্ত করা হয়। তবে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি সেখানে।
জানা যায়, ১ কোটি ৮২ লাখ টাকায় নগরীর দিগুবাবুর বাজারের ইজারা পেয়েছেন জাহিদুল ইসলাম নামে দেওভোগ এলাকার এক ব্যক্তি। তিনি এই বাজারের সাবেক ইজারাদার যুবলীগ নেতা রুবেল এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের ছোট ভাই মামুন খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দরপত্রের কাঙ্খিত মূল্য ছিল ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
একটি সূত্র জানায়, রুবেল ও মামুন খানের যোগসাজশে জাহিদুল ইসলাম কোটি টাকার মূল্যের দিগুবাবুর বাজারের ইজারা পেয়েছেন।
২৫ লাখ টাকায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ইজারা পেয়েছেন সাবেক যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ। এবং ২১ লাখ ১০ হাজার টাকায় খানপুর বাস স্ট্যান্ডের ইজারা পেয়েছেন মহানগর যুবদল নেতা শাহেদ আহম্মেদের ঘনিষ্ঠজন মোহাম্মদ আরিফ খান।
১২ লাখ টাকায় মন্ডলপাড়া সিএনজি স্ট্যান্ডের ইজারা পেয়েছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন। ৫ লাখ ৫১ হাজার টাকায় পঞ্চবটি ট্রাক স্ট্যান্ডের ইজারা পেয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের চাচা ও মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান।
১৫ লাখ ২৩ হাজার টাকায় মন্ডলপাড়া ও টানবাজার সড়কের টোল আদায়ের ইজারা পেয়েছেন যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ।
৩ লাখ ৬১ হাজার টাকায় ১ নং রেলগেট সিএনজি স্ট্যান্ডের ইজারা পেয়েছেন নূরুল ইসলাম, ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় ২নং রেলগেট সংলগ্ন শৌচাগারের ইজারা পেয়েছেন জাকির হোসেন সেন্টু, ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় চাষাঢ়া শৌচাগারের ইজারা পেয়েছেন মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন ও ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকায় ধর্মতলা শৌচাগারের ইজারা পেয়েছেন সাহাবউদ্দিন। এরা সরাসরি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত না থাকলেও তাদের পেছনেও বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতার হাত রয়েছে বলে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বাজার কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, দিগুবাবুর বাজারের ইজারা এবার রেকর্ড ব্রেক করেছে। এটা ১ কোটি ৮২ লাখ টাকায় একজন ইজারা পেয়েছেন। যিনি ইজারা পেয়েছেন তাকে আগে এখনো আমি দেখিনি। তবে এর আগে এতো টাকায় এই বাজারের ইজারা কেনেনি কেউ। বাজারের পর সবচেয়ে বেশি টাকা বাস টার্মিনালের ইজারা দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন ২০ এপ্রিল নগর ভবনে প্রকাশ্যেই এই কার্যক্রমটা হয়েছে। যারা যারা প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছেন সবাই ছিলেন। তবে এ সময় কোনো ধরনের খারাপ কিছু হয়নি। কিছু কিছু জায়গায় আগের চেয়ে বেশি ইজারা পাওয়া গেছে এবার। আসলে যিনি দর বেশি দিয়েছে আমরা তাকেই ইজারা দিয়েছি। এখানে আমাদের জায়গা থেকে কোনো ধরনের নেতিবাচক কিছু হয়নি বলে সবকিছু ঠিকমতো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :